Spread the love

আগামী মাসেই ভারতে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এরইমধ্যে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে প্রায় সবাই। পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি। দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে ক্রিকেট অঙ্গনে। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ অনিশ্চিত হয়েছে অনেক বাঘা ক্রিকেটারের। আবার কেউ কেউ ছিটকে গেছেন পুরো বিশ্বকাপ থেকেই।

ইনজুরি হানা দিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। বাংলাদেশের নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল চোটের কারণে খেলতে পারেননি এশিয়া কাপ।

দারুণ ফর্মে থাকা আরেক টপঅর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত আসরের দুই ম্যাচ খেলেই পড়েছেন ইনজুরিতে। আর ফিরতে পারেননি। ছিটকে গেছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেও। নিজেদের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে শুধু তামিমকে মাঠে দেখা গেলেও বিশ্বকাপে ফেরার আশা রয়েছে দুজনেরই।

তবে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র এবাদত হোসেন পেয়েছেন বড় দুঃসংবাদ। হাঁটুর ইনজুরির কারণে পুরো বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেছে এই বোলারের। সার্জারি করা হাঁটু স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে ৮ মাস। ফলে বিশ্বকাপে ফিরতে পারছেন না তিনি।

এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানের বোলার নাসিম শাহ কাঁধের ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে। এছাড়া বর্তমানে মাঠের বাইরে রয়েছেন হারিস রউফ, ইমাম উল হক ও আঘা সালমান। তবে চোট কাটিয়ে তারা বিশ্বকাপে ফিরবেন।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডও বিশ্বকাপের আগে পেয়েছে বড় দুঃসংবাদ। পিঠের ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন ইংলিশদের মারকুটে ওপেনার জেসন রয়। অথচ এই বিশ্বকাপের পরই তার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। রয়ের পরিবর্তে সুযোগ মিলছে হ্যারি ব্রুকের।

এদিকে সবশেষ অ্যাশেজ টেস্ট ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে ইনজুরিতে পড়েছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস, স্পিনার আদিল রশিদ ও পেসার মার্ক উড। তবে তাদের সবারই বিশ্বকাপে ফেরার কথা জানিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার।

একই সিরিজে বুড়ো আঙুলের হাড় ভেঙে ইনজুরিতে পড়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার বিষয়ে আপডেট জানানোর কথা বলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

হাঁটুতে চোট পাওয়া ব্যাটার কেন উইলিয়ামসনকে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এছাড়া আঙুলের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে আছেন ড্যারেল মিচেল ও ফিন এলেন। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে দুইজনেরই ফেরার আশা রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে হাত ভেঙেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটার ট্রাভিস হেড। তাই বিশ্বকাপে তিনি বলতে গেলে অনিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত হেড খেলতে না পারলে তার পরিবর্তে দেখা যেতে পারে মার্নাস লাবুশেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকাও রেহাই পায়নি ইনজুরির কবল থেকে। বিশ্বকাপে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন সিসান্দা মাগালা ও এনরিচ নর্টজে।

এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়ে ইনজুরির আঘাতে দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন লঙ্কান বোলার মাহিশ থিকসানা। হ্যামস্ট্রিং জটিলতায় তার বিশ্বকাপ প্রায় অনিশ্চিত।

তবে বর্তমানে ইনজুরিতে থাকা দুষ্মন্ত চামিরা, দিলশান মাদুশঙ্কা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে পাওয়ার আশা করছেন শ্রীলঙ্কা টিম ম্যানেজমেন্ট।

আগামী ৫ অক্টোবর ১০টি দলের অংশগ্রহণে ভারতের আহমেদাবাদে পর্দা উঠবে ২০২৩ বিশ্বকাপের। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ১৯ নভেম্বর একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের আসর।