Spread the love

রাবেয়া জাহান:

ফেসবুক আমাদের কী দিচ্ছে আর কী নিচ্ছে কখনো কী সেই হিসেব করেছেন? প্রতিটি ঘরে, ছোট বড় প্রতিটি হাতে এখন মোবাইল ফোন। একটা সময় ছিলো যখন ছেলে মেয়েরা পাঠ্য বইয়ের আড়ালে গল্পের বই পড়তো। টেবিলের উপরে থাকতো পাঠ্য বই আর নিচে থাকতো গল্পের বই। তারপর ও তো বাছারা পড়তো! আর এখন পাঠ্য বইয়ের আড়ালে রাখে মোবাইল ফোন। যদিও মোবাইল ফোন জ্ঞান অর্জনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম, কিন্তু কিশোর বয়সের ছেলে মেয়েরা মোবাইলের বহুমাত্রিক ব্যবহারে জ্ঞান অর্জনের দিকে খুব কমই ধাবিত হয়। আর তাছাড়া নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ অনেক বেশি। আর তাই মোবাইলে নেতিবাচক বিষয়ের প্রতি আকর্ষণ তাদের সমস্ত কোমলতা আর সৃষ্টিশীলতাকে নষ্ট করে দেয়। এই মোবাইলে আমরা সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করি, যার মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই ফেসবুক প্রথমতো কেড়ে নিচ্ছে আমাদের মুল্যবান সময়।

যে সময় আমরা ফেসবুকে খরচ করি, সেই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে প্রতিটি মানুষ নিজের অবস্থান থেকে নিজেকে কোনো একটি বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে পারতো।

ফেসবুক নষ্ট করছে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন। এখন আর আগের মতো জমে উঠে না আলাপচারিতা বা গল্পগুজব। আপনার পাশে কেউ বসে গল্প করছে, আর আপনি মোবাইল চাপছেন। এভাবেই মলিন হচ্ছে রক্তের বন্ধন, হৃদয়ের বাধন।

যান্ত্রিক সভ্যতার কাছে হার মানছে মানব সভ্যতা। তবে মানুষ তার জীবনের দূর্বল মুহূর্তগুলোতে বা জীবনের শেষ সময়ে একজন মানুষেরই সহযোগিতা চায়, মোবাইল বা ইন্টারনেট তখন অনুভূতির সেই জায়গাটুকু পূরণ করতে পারে না। যাহোক, যান্ত্রিক সভ্যতার দাপটে হৃদয়ের বন্ধন যেখানে ফিকে হয়ে পড়েছে, সেখানে চাইলেই কী আন্তরিক সখ্যতা পাওয়া সম্ভব? যত্নহীন আর গুরত্বহীন বন্ধনগুলো তখন ঠিক মুর্ছে যাওয়া ফুলের মতো সুবাসহীন নিরানন্দ হয়ে পাশে থাকে,,,,,