Spread the love

ভিনগ্রহের প্রাণী? তার মানেই এলিয়ান তাই তো? এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে যখনই কোনও প্রশ্ন উঠেছে, তখনই সঠিক কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা সবসময়ই জানিয়েছেন যে, যদি পৃথিবীতে এলিয়েনরা নেমে আসতে থাকে, তবে অচিরেই পৃথিবীকে আক্রমণ করবে তারা! ‘রহস্যজনক’ এই এলিয়েন নিয়ে সবসময়ই জল্পনা থাকে তুঙ্গে। হঠাৎই একদিন কোনও স্পেস স্টেশন থেকে নেমে আসবে একদল এলিয়ান।

যদিও অনেকে বিশ্বাস করে যে, পৃথিবীর মতো আরও অনেক গ্রহ আছে, যেখানে প্রাণ আছে। আর সেখান থেকেই নেমে আসবে এলিয়েনরা। এখনও পর্যন্ত যে প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এত জল্পনা ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট হল। বিজ্ঞানীরা অবশেষে এলিয়েনের খোঁজ পেলেন। দেখুন আসল তথ্য।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে মানুষ হতবাক। মেক্সিকান পার্লামেন্টে দুই এলিয়েনের মৃতদেহকে সামনে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। পেরুর কুজকো থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। তাদের দাবি, ভিনগ্রহের মৃতদেহগুলি হাজার বছরের পুরনো।

তবে কি এলিয়েন সত্যিই বিদ্যমান? স্প্যানিশ নিউজ ওয়েবসাইট মার্কা-র রিপোর্ট অনুযায়ী, মেক্সিকো সিটির বিজ্ঞানীরা একটি অফিসিয়াল ইভেন্টের সময় দুই এলিয়েনের মৃতদেহ বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন। প্রোগ্রামটির নেতৃত্বে ছিলেন মেক্সিকান সাংবাদিক এবং ইউপোলজিস্ট জেইম মাউসন, যিনি কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা নিয়ে গবেষণা করছেন।

ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দুটি কাঠের বাক্সে অদ্ভুত দুই মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে, যার সঙ্গে মানুষের মৃতদেহের কোনও মিল নেই। সেই সময় আমেরিকানস ফর সেফ অ্যারোস্পেসের ডিরেক্টর এবং মার্কিন নৌবাহিনীর পাইলট রায়ান গ্রেভসও উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই দু’টি মৃতদেহ পৃথিবীর অংশ নয়। এদেরকে UFO-এর ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করেছে। দু’টোই বর্তমানে জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে।

মাউসন আরও জানান, ইউএফও-র নমুনাগুলি সম্প্রতি মেক্সিকোর অটোনোমাস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে বিজ্ঞানীরা রেডিওকার্বন ডেটিং-এর সাহায্যে ডিএনএ পরীক্ষা করেন। আর তা থেকেই জানতে পারেন যে, এরা পৃথিবীর অংশ নয়।